পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নেছারুদ্দিন ফাযিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম ৩৭ দিন জেল হাজতে থাকলেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত না করে পুরো সময়ের বেতনভাতা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন ফাযিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুমকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠায় এবং হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ১৫ অক্টোবর জেল থেকে বের হন। পরদিন ১৬ অক্টোবর তিনি মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে তার পুরো মাসের বিল তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) দপ্তরে পাঠালে তিনি তা অনুমোদন দেন এবং পরদিন স্থানীয় ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক কলিম উল্লাহ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জেল হাজতে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয।
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম ৩৭ দিন জেলা হাজতে থাকার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমাকে বেতনের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই গত ৪ নভেম্বর ব্যাংকে ২৪ হাজার পাঁচশ টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা এ মাসে জমা দিয়ে দেবেন।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুরুল হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তবে তার আগেই বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানার পর অধ্যক্ষকে তার গৃহীত বেতনভাতা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগটির সত্যতা নিরুপণের জন্য কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।