মেহেরপুরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নৌবাহিনীর সদস্যে নাজমুল হকের (৩৫) মৃত্যুতে করোনা সন্দেহে মৃতের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাতে বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।
নাজমুল হক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দ্বারা জানান, সদর উপজেলার আমঝুপি ইউপির কোলা গ্রামের বাবুপাড়ার খোকনের জামাতা নাজমুল হকের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হওয়ায় বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানান, নাজমুল হক তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান কালে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়। এ ঘটনাটি এলাকার সকলেরই জানা আছে। তাদের ধারণা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
মেহেরপুর সদর থানার সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক আজম আলী জানান, মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ঐ বাড়িতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে পরিবারের সদস্যদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
নাজমুলের শাশুড়ী জানান, গত ১০ দিন যাবৎ নাজমুল হক তাদের বাড়িতে অবস্থান করছিল। লিভারের সমস্যার কারণে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কুষ্টিয়ায় নেয়া হলে একটি হাসপাতালে রাত ৮টায় মারা যায় সে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও অলোক কুমার দাস জানান, নৌ সদস্য নাজমুল হক করোনার উপসর্গ নিয়ে কোলা গ্রামে তার শশুরবাড়িতে অবস্থান নেয়। অসুস্থ বেশি হওয়ায় কুষ্টিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারি। মৃতের শ্বশুর বাড়িসহ পার্শবর্তী কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।