জয় বাংলা ও আত্মপরিচয়ের লড়াই - দৈনিকশিক্ষা

জয় বাংলা ও আত্মপরিচয়ের লড়াই

এ এস এম জিল্লুুর রশীদ |

জয় শব্দটি সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলা ভাষায় যুক্ত হয়ে মিলিত ও একীভূত হয়েছে। জয় শব্দের অর্থ বিজয় বা বিজয়ী হওয়া বা জিতে যাওয়া। জয় বাংলা শব্দের মধ্যেই নিহিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিজয়গাঁথা। জয় শব্দটি বাংলা মূল শব্দের সাথে মিলে মন মানসে বিশেষ দ্যোতনা, অনুভূতি সৃষ্টি ও চেতনা জাগ্রত করে যা খাটি বাংলা বা বঙালি অনুভূতি। আবহমান কাল থেকেই বাঙালির বিজয় বা সাফল্যের ধ্বনি প্রকৃতি জয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ধ্বনি ‘জয় বাংলা’। সংস্কৃত থেকে উৎপত্তি হলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিলীন হয়ে এমনভাবে মিশেছে যে এর কোন পরিভাষা বা বিকল্প শব্দ তৈরী হয়নি। জয় বাংলা কোন সাম্প্রদায়িকতাকে স্পর্শ করে না। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বতঃস্ফুর্ত ও প্রেরণদায়ী উজ্জীবিত স্লোগান জয় বাংলা, বাংলার জয়| বাঙালি ভাষা সংস্কৃতির  স্বতঃস্ফুর্ত ধারার সাথে সমন্বয়তার কারণে অথবা এদেশের মাটি-মানুষ, আলো-বাতাস, রুপ-রস-গন্ধের সাথে ঐক্যতানের কারণে কখনও বিজাতীয় বা সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন ওঠেনি। তাই বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার প্রথম ও প্রিয় দৌহিত্রের নাম দিয়েছেন জয়।

জিন্দাবাদ শব্দটি উর্দু শব্দ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে এর কোন ব্যবহার অতীতে দেখা যায়নি । ১৯৭৫ এ জন্মানো ঘৃণা ও বিভেদের পাকিস্তান রাষ্ট্র ও ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতম ঘটনার পর ৭১-এ পরাজিত সাম্প্রাদায়িক মৌলবাদি শক্তি দেশকে আবারও পেছনে নিয়ে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের পরিবর্তে ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান প্রবর্তন করে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ থেকে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ পাকিস্তানী সাপ্ম্রদায়িক ভাবধারায় ফিরে যাবার সূক্ষ্ম প্রয়াস।

শুরু হয় জয় বাংলা ও বাংলাদেশ জিন্দাবাদের নামে সংস্কৃতির লড়াই বা সংগ্রাম।

উর্দু শব্দ জিন্দাবাদ বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সংশ্রবহীন, সাম্প্রাদায়িক বিজাতীয় সুড়সুড়ি। ইতিহাসের চাকাকে পেছনে ফেরানো সাম্প্রাদায়িক অনুভুতি ও মূল্যেবোধ জাগিয়ে তোলার হীন প্রয়াস।

প্রায় দুইশত বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও তাদের “ভাগ কর ও শাসন কর” নীতির কারণে ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম। ঔপনিবেশবাদী বিভক্তির কারণে ও ষড়যন্ত্রে মুসলিম জাতীয়তাবাদের চেতনায় পাকিস্তান ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের চেতনায় ভারত নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হলেও ভারত শুরু থেকেই রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায়, নীতি নির্ধারণে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে আসছে। যার সুফল তারা ইতোমধ্যে পেয়েছে, বিশ্বশক্তি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আবির্ভূত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিশ্ববাসীর সমীহ আদায় করে নিয়েছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তান অগণতান্ত্রিক বা সাম্প্রাদায়িক নীতি গ্রহণ ও লালনের কারণে আজ ভঙ্গুর, পশ্চাৎপদ, অনগ্রসর, দুর্বল-হীনবল ও ক্ষয়িষ্ণু।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জন অধ্যুষিত পূর্ব বাংলার মানুষের সমর্থন পাকিস্তানের দিকে থাকায় পূর্ব বাংলা ভৌগলিক অখণ্ডতা ছাড়াই পাকিস্তানের অন্তর্গত হয়। কিন্তু পূর্ব বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি পাকিস্তানের সাথে কোন মিল ছিল না। যতটা মিল ছিল পশ্চিম বঙ্গ বা ভারতে সাথে। হিন্দু ধর্মের বৈষম্য ও নীপিড়নমূলক বর্ণ প্রথার কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও দুরপ্রাচ্যের ইসলাম ধর্ম প্রচারকদের শান্তির বানীতে আকৃস্ট হয়ে নিম্নবর্ণের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দলে দলে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও আবহমানকালের নিজস্ব লালিত ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রথা থেকে বেরিয়ে আসেনি । অপরদিকে ভূখণ্ডগত নৈকট্যের কারণে ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগতভাবে পাকিস্তান মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য বা আফগান সংস্কৃতি প্রভাবিত । ভাষাগত ভিন্নতা ছাড়াও পূর্ব বাংলা ও পাকিস্তানের মধ্যে আচার, অনুষ্ঠান, রীতি-নীতি মূল্যবোধ, প্রথা, পদ্ধতি অধিকাংশ ক্ষেত্রে  বৈপরীত্য বা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

পূর্ববঙ্গের নির্যাতিত নিম্নবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায় বর্ণপ্রথার নিষ্পেষণে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হলেও নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আচার অনুষ্ঠান ত্যাগ করেনি। ফলে পাকিস্তানিরা পূর্ব বঙ্গের মুসলমানাদের খাটি বা সাচ্চা মুসলমান মনে করত না। একারণে ব্রিটিশদের কাছ  থেকে স্বাধীনতা লাভের পরই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী প্রথম সুযোগেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে পূর্ব বাংলাকে তাদের অনুরুপ মুসলিম বা ইসলামী সংস্কৃতিতে বিলীন করে পদানত করার ষড়যন্ত্র করে। স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন বিপ্লবী মনোভাবাপন্ন বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস না করে বেশিদিন পদানত বা শাসন করা যাবে না একথা পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অজানা ছিল না। কিন্তু তাদের ভুল ছিল লড়াইটাকে সামনে বা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা।  ঘোষণা দিয়ে একমাত্র উর্দুকে রাস্ট্রভাষা করায় তৎকালীন সংগ্রামী বাঙালি ছাত্র নেতৃত্বের ইগো বা অহমে আঘাত লাগে। বারুদে আগুন  দেয়ার মত তারা সর্ব সাধারণের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে ফুঁসে ওঠে। পাকিস্তানীরা শক্তি প্রয়োগে আন্দোলন দমনের কৌশল নেয় যা বুমেরাং হয়ে বাঙালিকে আরও ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিবাদী করে তোলে। জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর পরাজয় ঘটে। এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি মানসে নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটে- ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ যা কালক্রমে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক মুক্তির চেতনায় জাগ্রত ও ঐক্যবদ্ধ করে  স্বাধীন সার্বভৈৗম বাংলাদেশের অভূদ্যয় ঘটায়। ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালি মানসে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের যে ফাটল ধরে তা আর কখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বরং পাকিস্তানী স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠিীর ক্রমাগত দুঃশাসন ও ভাষা বিজয়ের মধ্যে দিয়ে নব সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবোধে  উজ্জীবিত করে নতুন স্বাধীন ও স্বাধীকার বাংগালী চেতনায় রুপ নেয়।

ভাষা থেকে সংস্কৃতি, সংস্কৃতি থেকে জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবাদ থেকে স্বাধীকার-স্বাধীনতা ধাপে ধাপে আন্দোলন বিকশিত হয়ে ৭১ এ  স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন রাস্ট্রের পরিনত রুপ লাভ করে। দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ জনতার সামনে এমন কোন শক্তি ছিল না রুখবার, তা সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন। ৪৭ এর ধর্মভিত্তিক মুসলিম জাতীয়তাবাদের চেতনাকে নির্জিব, অকার্যকর  ও নিস্তেজ করে দিয়ে ভাষাভিত্তিক বাংগালী জাতীয়তাবাদের চেতনার উদ্ভাসিত উদ্দীপ্ত স্লোগান “জয় বাংলা”,  আমাদের স্বাধীনতার শক্তি ও স্লোগান “জয় বাংলা”। জয় বাংলা উচ্চারন বাংলার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে মানুষকে উজ্জীবিত ও উদ্দীপ্ত করে সংগ্রাম ও ঐক্যবদ্ধতার পথে ধাবিত করে। জয় বাংলা কোন শব্দগত বা ভাষাগত বিষয় থাকেনি, সে হয়ে উঠেছিল বাঙালির আশা আকাংখার সস্বতঃস্ফুর্ত উদ্দীপ্ত উচ্চারণ । ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলেই “জয় বাংলা” ধারণ করে এক বজ্র নিনাদে রুপ দেয় যা  পরাক্রমশালী পাক শাসকগোষ্টীর ক্ষমতার তক্ততাউস ধ্বসিয়ে বিলীন করে দেয়।

কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারী পরাজিত শক্তি আবারও আঘাত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা  করে ইতিহাসের চাকাকে পিছনে ঠেলে দেয়। ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয় অসাম্প্রাদায়িকতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে হত্যা করে পাকিস্তানী ভাবধারার বিজাতীয় জিন্দাবাদ স্লোগান আমদানী করে, যা ছিল সুদুরপ্রসারী সংস্কৃতিক অগ্রাসনের সূচনা। তাদের লক্ষ ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রাদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমূলে উপড়ে ফেলা । শুধু নেতৃত্ব বা ক্ষমতার পালাবদল বা হাতবদল নয়, আবহমানকাল বাংলার লালিত স্বপ্ন সূখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াস নস্যাতের প্রসাদ ষড়যন্ত্র। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে পঙ্গু, অথর্ব, নিস্তেজ, নিষ্কৃয় জাতিতে পরিনত করে পদানত করা। এ সংগ্রামের গূঢ় অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হলে আমাদের পরাজয় ও ধ্বংস অনিবার্য।

কিন্তু আমরা বুঝতে অক্ষম, আমরা মনে প্রানে “জয় বাংলা” উচ্চারনে সাহসী নই। “জয় বাংলা” কোন দলের স্লোগান নয়, স্বাধীনতার স্লোগান, মুক্তির স্লোগান, স্বাধীকারের স্লোগান।  দলীয় সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে এ স্লোগানকে ধারন করতে না পারলে পতন ও ধ্বংস  অনিবার্য। আজকাল সরকারী বেসরকারী কোন অনুষ্ঠানেই “জয় বাংলা” উচ্চারিত হয় না। এ বিষয়ে কোন সরকারী নির্দেশনাও নেই। কিছু কিছু আওয়ামী লীগ নেতা জয় বাংলা স্লোগান দিলেও তা তেজোদীপ্ত নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও অনেকটা আপোষকামী মনে হয়, জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ “চিরজীবী হোক” স্লোগান দিয়ে “জয় বাংলার” বিলুপ্তিকে মেনে নিয়েছেন।

কিন্তু “জয় বাংলা” শুধুই স্লোগান নয়, আমাদের সংস্কৃতি, স্বাধীনতার চেতনায় ভাষ্মর বিজয়াদীপ্ত উচ্চারণ । একে আবার জাগরিত করতে হবে, উদ্ভাসিত করতে হবে, প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যে বিজয় ও প্রতিষ্ঠা যার হাত ধরে আসে ৭১ এর স্বাধীনতা, জিন্দাবাদ স্লোগান আবারও সে বিজয়কে ছিনিয়ে নেবার সচেতন অপচেষ্টা। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা পরস্পর পরিপূরক, একটি দুর্বল হলে অপরটি দুর্বল বা নিস্তেজ হয়ে পরাজিত হয়।

জয় বাংলা শুধু স্লোগান নয়, স্লোগান সর্বস্বও নয়। এর পেছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী ঐতিহ্যের লড়াই, সংস্কৃতির লড়াই, অসাম্প্রাদায়িক মুল্যবোধের লড়াই, সুখী, সমৃদ্ধশালী জীবন ও সমাজ বিনির্মানের লড়াই- এ লড়াইয়ে জিততে হবে।

তাই আসুন সবাই চেতনায় ধারণ করি “জয় বাংলা”, সমস্বরে বজ্রকন্ঠে তেজোদীপ্ত উচ্চারণ করি “জয় বাংলা”।

 

এ এস এম জিল্লুুর রশীদ

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055539608001709