ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা। মানববন্ধনের আগে শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজটি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। কলেজটির স্থাপনের কাজ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এ অবস্থায় কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কলেজে কোনো অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক নেই। উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কলেজে ল্যাব থাকলেও প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। কলেজ প্রশাসন সঠিক সময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সেশন জট।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম, সিলেট, দিনাজপুর, বরিশালে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কলেজগুলো চালাতে ব্যর্থ হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ৪টি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কলেজগুলোতে এখন মাস্টার্স পিএইচডি ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা কলেজ থাকা অবস্থায় সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য গত ৫ বছর আন্দোলন করছেন তারা। ইতোপূর্বে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক অধ্যক্ষ ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসীম কুমার বালা, ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক ফেরদৌস জামান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. এরফানুল হক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন, প্রণব সাহা দীপ্ত। উপস্থিত ছিলেন, মুরাদ বিশ্বাস, মোস্তাকিম আহমেদ, ইশরাত জাহান, সাদিয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিতে পাঠানো একটি চিঠিতে ঝিনাইদহ সরকারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। একই বছর ২৬ আগস্ট এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও যবিপ্রবির উপাচার্যের মতামত চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।