সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে আগৈলঝাড়ায় সরকারের বই উত্সবে স্কুলের ধার্যকৃত টাকা ছাড়া মিলছে না মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক। স্কুলে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ এলাকার দরিদ্র অভিভাবকরা।
উপজেলার পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি আক্তারের মা সাফিয়া বেগম অভিযোগ করেন, স্কুলের ধার্যকৃত টাকা দিতে না পারায় তার মেয়ে স্কুলে গিয়ে বই না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে এসেছে। একই অভিযোগ করেছেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী চাঁদনী আক্তারের অভিভাবক রাবেয়া বেগম। এভাবে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে টাকা না দেওয়ায় বই না
পাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
ওই স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে স্কুলের ধার্যকৃত ফি ধরা হয়েছে ৪৯০ টাকা, সপ্তম শ্রেণিতে ৫২০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে ৫৭০ টাকা, নবম শ্রেণিতে ৬২০ টাকা ও দশম শ্রেণিতে ৪৭০ টাকা। সূত্রমতে, ফরম ক্রয়, ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফি, ক্রীড়া, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, সরস্বতী পূজা, পাঠাগার ও প্রতি বিষয়ে ফেল বাবদ এসব টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ ধার্য করেছে।
তবে বই উত্সবের দিন স্কুলের ধার্যকৃত টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় না করার জন্য সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না স্কুলগুলো।
উপজেলার শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই স্কুলের ধার্যকৃত টাকা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।
কুয়াতিরপাড় গ্রামের খোকন চন্দ্র সমদ্দার অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে স্মৃতি সমদ্দার উপজেলা সদরের শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে। রোল নং ১৬। চার’শ টাকা স্কুলে না দেওয়ায় তাকে বই দেওয়া হয়নি। বই না পেয়ে খালি হাতে ফিরে তার মেয়ে কাঁদছে।
পয়সা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরকম কোনো বিষয় তার জানা নেই।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল বলেন, তিনি বই বিতরণের একটি অনুষ্ঠানে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।