কলেজ ও মাদরাসার তিনজন শিক্ষককে টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্তির সঙ্গে জড়িত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের দুইজন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এমপিওভুক্তির সব কাগজপত্র নিয়ে দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে এমপিওভুক্ত তিনজন শিক্ষককেও। এই তিন শিক্ষক হলেন রাজবাড়ী জেলার আবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক কাজী বদরুল আলম, একই জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং কুরনিয়ারচর কাদেরিয়া হাসনাবাদ দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আহমেদ। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজবাড়ীর আবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক কাজী বদরুল আলম নিয়োগ পেয়েছেন ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে। আর এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০০০ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে। ওই সময় এমপিওভুক্তির কাজ করত ব্যানবেইস। দায়িত্বে ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তার নাম এখনও জানতে পারেনি দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধান দলের সদস্যরা।
জানা যায়, ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ পান। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এমপিওভুক্ত হন তিনি। গোয়ালন্দ উপজেলার কুরনিয়ারচর কাদেরিয়া হাসনাবাদ দাখিল মাদরাসার কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আলী আহমেদ নিয়োগ পেয়েছেন ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে। তিনি এমপিওভুক্ত হয়েছেন ২০১০ খ্রিস্টাব্দে। এ সময় এমপিওভুক্তির বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের হাতে ছিল। এই শাখার দায়িত্বে ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ও শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: সিদ্দিকুর রহমান। তিনি এক বছর যাবত ঢাকার দুয়ারীপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাদরাসা শাখা থেকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক হিসেবে বদলি হন। ডিআইএতে কয়েক বছর চাকরি করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখাকে ম্যানেজ করে ঢাকার দুয়ারীপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন তিনি। তাকে খুঁজছে দুদুক। তার মতামতের জন্য চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।