আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শিক্ষা হচ্ছে মৌলিক মানবাধিকার। তাই কেবল অর্থের অভাবে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষার টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আরও অধিক হারে শিক্ষালাভের সুযোগ করে দিতে হবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্রিং সেমিস্টারে নতুন ভর্তিকৃত প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীর ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কিছু মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করাই মানসম্মত শিক্ষা নয়। মানসম্মত শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মানসম্মত ও বৈষম্যহীন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়নি। বৈষম্যের অন্যতম কারণ হলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি, বেসরকারি, এমপিওভুক্ত, নন এমপিওভুক্ত, বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম, মাদরাসা শিক্ষাসহ বহু রকম শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভৌগোলিক অবস্থানের ভিন্নতা, অভিভাবকদের আর্থিক সক্ষমতা, ছাত্রছাত্রীর বেতন ও টিউশন ফিসহ অন্যান্য ব্যয়ের ভিন্নতা এবং মানসম্পন্ন শিক্ষকের রকমফেরও বৈষম্যের অন্যতম কারণ।
শুধু সরকারের পক্ষে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা দূরহ ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রভূমিতে থাকতে হবে।
এছাড়া যারা আর্থিক সংকটকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, অর্থের অভাবে তাদের পড়ালেখা যেন মাঝপথে থেমে না যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দেন আনিসুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফনটেইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।