সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) প্রকল্পে নিয়োগকৃত ৯২ শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মাহমুদউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার (১৩ আগস্ট) এ আদেশ দেয়।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক ছুটিতে বিদেশে থাকাকালে সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ অবৈধভাবে ৯২ জনের চাকরি স্থায়ী করে।
১৪টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিচার এডুকেটরস বাংলাদেশ (আটেব) সভাপতি ও বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. শেখ মো: রেজাউল করিম এবং টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ৩৪ জন কর্মকর্তা বিক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল এর বিরুদ্ধে রিট করেন।
দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার সহকারী পরিচালক মো: হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদার ও অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখার মো: বশির উল্লাহ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ্প্রশাসন শাখার কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘুষ নিয়ে তারা শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেন মর্মে দৈনিক শিক্ষার কাছে অভিযোগ করেন বিসিএস শিক্ষা সমিতির সাবেক নেতারা। অবৈধভাবে স্থায়ীকরণের এই ঘটনা শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের টনক নড়ে। বিদেশে থেকে ফিরে তৎকালীন সচিব মোহাম্মদ সাদিক এ এস মাহমুদকে মৌখিকভাবে তিরস্কার করেন বলে জানা যায়।
মাহমুদের স্ত্রী সরকারি ইডেন কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ। হেমায়েত ও বশির উল্লাহ উপসচিব হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন গত জুন মাসে।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন ৯২ জন শিক্ষকের চাকরি নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮১ এর বিধি ৭(১) ও ৭(২) মোতাবেক প্রকল্পে যোগদানের তারিখ হতে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে স্থায়ীকরণের আদেশ জারি করা হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের ফলে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে আটেব নেতারা মনে করেন।