টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হচ্ছে ২৯ মার্চ থেকে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির লেকচার ভিডিও ধারণ ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে এই বাজেট চাওয়া হয়েছে। তবে কত টাকা দেয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি। আলাপ আলোচনা শেষে হয়তো এই বাজেট আরো কমতে পারে। সংসদ টিভির পাশাপাশি যদি বেসরকারি টিভিতেও প্রচার হয় তাহলে খরচ বেশি হবে। যদি শুধু সংসদ টিভিতে সম্প্রচার হয় তাহলে এই বাজেট অনেক কমবে বলে জানা গেছে।
১৬ কোটি টাকা কোন কোন খাতে খরচ হবে? কোনো বেসরকারি টিভির সাথে চুক্তি হয়েছে কি-না? ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো: গোলাম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে টিভিতে ক্লাস নেয়ার বিষয়টি দেখভাল করছেন পরিকল্পনা ও কলেজ ও প্রশাসন শাখার কর্মকর্তারা। তাদের সাথে ও যোগাযোগ করা যায়নি।
করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ‘সংসদ টেলিভিশনে’ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষাদান শুরু করার উদ্যোগ নেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই সম্প্রচার কাজটি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে। আর এই সুযোগে বিশাল বাজেট দিয়ে বসেছে অধিদপ্তর। টিভিতে সম্প্রচারের জন্য ক্লাসের ভিডিও ধারন ও অন্যান খরচের জন্য ১৬ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রথমে ২৮ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার কথা থাকলেও প্রস্তুতির অভাবে তা পিছিয়ে ২৯ মার্চ করা হয়েছে।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, হয়তো অনেকদিন ক্লাস সম্প্রচার করতে হতে পারে। করোনার ভয়ে অনেক শিক্ষক আসতে চাইছেন না। সেক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি হতে পারে। তাই হয়তো কিছু বেশি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। খরচ না হলে তো ফেরত দেয়াই যাবে।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বারবার বলেছেন, ‘বাইরে ঘোরাঘুরির জন্য ছুটি দেয়া হয়নি, বাড়ীতে থাকার জন্য এবং অবশ্যই বাড়ীতে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।’
জানা গেছে, যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা ক্লাস সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সাতটি করে প্রতিসপ্তাহে ৩৫টি ক্লাস প্রচার করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসেই টেলিভিশনে নিজ নিজ বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দেয়া শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।