টিসি ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আদেশ প্রত্যাহার দাবি - দৈনিকশিক্ষা

টিসি ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আদেশ প্রত্যাহার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

টিসি ছাড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির করার আদেশ প্রত্যাহার চায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ। পরিষদ নেতারা মনে করেন নতুন আদেশে কিন্ডারগার্টেনের আরো ক্ষতি হবে এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে যে বকেয়া টিউশন ফি রয়েছে তা অভিভাবকরা আর পরিশোধ করবেন না।

১০ আগস্ট দৈনিক শিক্ষার লাইভে যুক্ত হয়ে পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের প্রতি আমার দৃৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আমি আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ প্রজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে এই পরিপত্র প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমার জানামতে বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন  দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার সুফল আমরাও যেমনি ভোগ করেছি তেমনি এই সাফল্যের পেছনে আমাদের অবদানও উল্লেখযোগ্য ছিল।  শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি'র ওপর নির্ভরশীল ৯৯% ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত  আমাদের প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে না পায় আমরা মার্চ মাস থেকে বাড়ী ভাড়া, কোন প্রকার বিল ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারি নি ফলে তারা এক ভয়াবহ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

অনেক শিক্ষক জীবন জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করে শিক্ষকের জন্য অসম্মানজনক অনেক পেশায় নিজেকে আত্ননিয়োগ করেছে যাহা একটি দেশ এবং জাতীর জন্য অনেক লজ্জার।

দুভার্গ্যের বিষয় হচ্ছে সরকার বিভিন্ন সেক্টরে আর্থিক সহায়তা দিলেও আমাদেরকে কোন প্রকার সহায়তা এখনো দেয়নি  ফলে আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে গত ৯ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারি করে। এই  আদেশে বাংলাদেশের ৬০ হাজার কিন্ডারগার্টেন তথা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ লক্ষ শিক্ষকের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমাদের টিকে থাকার শেষ সম্বলটুকু যেন কেড়ে নেয়া হল। যেখানে আমরা আশা করছিলাম সিনিয়র সচিব মহোদয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিকট প্রাথমিক শিক্ষায় আমাদের বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরে আমাদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করবেন ও আর্থিক সহায়তার পরিপত্র জারী করবেন সেখানে এই ধরনের একটি আদেশ যেন মরার উপর খরার ঘা। 

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038900375366211