শিবালয়ের নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চার শিক্ষার্থীকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ফরম পূরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানান, ১৬ শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ১৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চারজনকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের আব্দুল বাতেন, আক্কাস আলী, বাদশা মিয়া ও জাহাঙ্গীর শেখসহ ১২ জন এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, উপজেলার নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের কাছে বারবার আবেদন করার পরও নির্বাচনী পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে দেননি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রহস্যজনকভাবে গোপনে অনুত্তীর্ণ চার শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করিয়েছেন। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন চেয়ারম্যানসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা।
এদিকে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এবার এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় ১৬ শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করা হয়নি। কিন্তু ১৬ জন অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার শিক্ষার্থী গোপনে বিদ্যালয়ের পাসওয়ার্ড ব্যবহার ও শিক্ষা বোর্ডের সংশ্নিষ্ট কাউকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করেছে। এ ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম ফারুক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।