এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় আটটি বিষয়ে ফেলের পরেও ফরম পুরণের টাকা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে টাকা নিলেও ফরম পূরণ হয়নি ওই শিক্ষার্থী। এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে বেলাল (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বেলাল আট বিষয়ে ফেল। সে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে জোর করে টাকা দিয়ে এসেছে। তবে ওই শিক্ষার্থী বলছে, ফরম পুরণ না হলে টাকা নিলো কেনো স্কুল?
বেলাল নাটোর সদর উপজেলার নারায়নপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বেলালের চলতি বছরে পুঠিয়ার গাওপাড়া সেনভাগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিলো। কিন্তু প্রবেশপত্র না দেওয়া হলো না পরীক্ষা।
শনিবার সকালে এসএসসির ফরম পূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও ব্যর্থ হয়। বেলাল বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বেলাল হোসেন বিষপানে অথবা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয়।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য গত ৩ থেকে ৪ মাস আগে গাওপাড়া সেনভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলামের কাছে ২ হাজার ৩০০ টাকা জমা দেয় বেলাল হোসেন। গত ২৫ জানুয়ারি স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানে সকল এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পেলেও বেলার পাইনি। পরে প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি শিক্ষক রেজাউল ইসলামকে জানালে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন।
বেলাল হোসেনের মা জানান, পরীক্ষা না দিতে পারায় তার বাবা প্রতিনিয়ত তাকে বকাঝকা করছেন। এতে সে রাগে বিষপানে অথবা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার কথা বলেছে।
গাওপাড়া সেনভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বেলাল স্কুলের অনিয়মিত ছাত্র। সে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় ৮টি বিষয়ে ফেল করেছে। সে কারণে এসএসসি পরীক্ষায় তার নামে ফরম পূরণ করা হয়নি। তাহলে ফরম পূরণের নামে টাকা নেয়া হলো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিষেধ করা সত্ত্বেও সে জোর করে বাড়িতে এসে টাকা দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন উইলিয়াম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, বিষয়টির আমি কিছুই জানতাম না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, এ ব্যপারে একটি ছেলে অভিযোগ দিতে এসেছিলো। তবে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি না জানিয়ে অভিযোগ দেয়ায় সেটি গ্রহণ করা হয়নি।