বন্ধ মেসে রেখে আসা বই-খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে আসার পথে লাশ হয়ে গেলেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রী অর্পিতা সাহা। রোববার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় অকালে প্রাণ যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী অর্পিতার। ওই একই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অটোরিকশার আরেক যাত্রী শেরপুর উপজেলার শেরুয়া কানাইকান্দো গ্রামের সুলতান আহমেদের স্ত্রী নীলা পারভিন নামে আরও এক গৃহবধূ।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার শেরুয়া কৃষ্ণপুর যমুনাপাড়া এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক বগুড়ার দিকে আসা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ট্রাকচাপায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী নীলা পারভিন নিহত হন। আহত হন ভেতরে থাকা তিন যাত্রী। চালক ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন হোসেন জানান, আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই চিকিৎসকরা অর্পিতা সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অর্পিতা সাহা কলেজের অদূরে সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকায় 'ইসলাম মঞ্জিল' নামে একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করতেন বলে জানিয়েছেন ওই একই মেসের ছাত্রী দিথী রানী। বর্তমানে বাড়িতে অবস্থানরত দিথী রানী জানান, অর্পিতার বাড়ি ধুনট উপজেলার মথুরাপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের জীবন সাহার মেয়ে। করোনা পরিস্থিতিতে গত ১৯ মার্চ থেকে মেস বন্ধ রয়েছে। অর্পিতা মেসেঞ্জারে জানিয়েছিল, মেস থেকে বই-খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে বগুড়া আসবেন। কিন্তু তার আগেই তিনি লাশ হয়ে গেলেন। এটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।