ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ডাকসুর আগের নির্বাচনগুলোতে বেশি অনিয়ম হয়েছে। সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনাও ঘটেছে। সেই তুলনায় এই নির্বাচনের অনিয়মগুলো ‘নরমাল’। ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার (১৮ মার্চ) এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
গত শুক্রবার রাতে উপাচার্যের সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কথা বলার আশ্বাসে অনশন ভাঙেন সাত শিক্ষার্থী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনশনকারীদের মধ্যে তাওহীদ তানজিম, শোয়েব মাহমুদ, রাফিয়া তামান্না ও রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে শোয়েব মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভোট প্রদানে বাধা ও প্রার্থীদের ওপর হামলার বিষয়গুলো উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন হলে ভোটের অনিয়ম, ভোটারদের লিখিত অভিযোগ ও হামলার ভিডিও ফুটেজ দেয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ১৩ মার্চ যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের কাছে এই ডকুমেন্টগুলো সরবরাহ করা হবে।'
শোয়েব বলেন, এসব অনিয়ম নিয়ে আলোচনার সময় উপাচার্য স্যার বলেছেন, ‘আগের ডাকসু নির্বাচনগুলোতে অনেক বেশি অনিয়ম হয়েছে। সেগুলোর চেয়ে এই নির্বাচনে অনেক নরমাল অনিয়ম হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’
অনশনকারী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট না। যেহেতু আমাদের উত্থাপিত অনিয়মগুলো নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন সেহেতু আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করব। দ্রুত তদন্তের ফল প্রকাশ না করলে আমরা চলমান আন্দোলনে যোগ দেব।'
এদিকে ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পাঁচ প্যানেলের প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি শুরু করেন। তার আগে বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা।