মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক শিক্ষার্থীকে ডাকাত অপবাদ দিয়ে মারধরের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য (ইউপি মেম্বার) ও তাঁর শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার বাউশিয়া ইউপির সদস্য মো. মামুন ও তাঁর শ্বশুর মিলন সরকার। গত শনিবার রাতে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মামুনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী তামিম হোসেন চরবাউশিয়া বড়কান্দি গ্রামের আলম ব্যাপারীর ছেলে ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তামিম হোসেন বলে, ‘মামুন মেম্বারের এক আত্মীয়র সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। এ কারণে মামুন মেম্বারের স্ত্রী নুসরাত জাহান মিতুর মোবাইল ফোন থেকে সে (মেম্বারের আত্মীয়) বারবার মেসেজ দিয়ে আমাকে যেতে বলে। আমি গিয়ে মামুন মেম্বারের বাড়ির নিচতলায় অপেক্ষা করছিলাম। তখন দুই যুবক আমাকে দেখে আটক করেন। এরপর মামুন মেম্বার, তাঁর স্ত্রী ও দুই যুবক আমাকে ছাদের ওপর নিয়ে বেঁধে মারধর করেন। আমাকে টুকরা টুকরা করে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। আমাকে রড দিয়ে মেরে অজ্ঞান করে ফেলেন। পরে জানতে পারি মামুন মেম্বারের শ্বশুর আমাকে মেডিক্যালে ভর্তি করেছেন।’
ইউপি সদস্য মো. মামুন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টায় ঘুমিয়ে পড়া অবস্থায় ভাতিজা সবুজ ও আলম চিৎকার করে বলে চাচা আপনার বাড়িতে ডাকাত ঢুকেছে। আমি বাড়ির গেট খুলে দেওয়ায় অনেক লোক পাঁচতলার ওপরে উঠেছে এবং তামিমের সঙ্গে একটা দাও ও একটা রামদা পেয়ে তারা তাকে মারধর করে।’
গজারিয়া থানার ওসি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানায় মামলা হয়েছে।’