অবশেষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আবারও সমালোচিত হন মিজান। দুদকের কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর তাকে বরখাস্ত করার একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর গতকাল মিজানকে বরখাস্ত করা হলো। এখন তার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি চূড়ান্তভাবে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।
দ্বিতীয় বিয়ে লুকাতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছর ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহারের পর তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এ ছাড়া মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে।
মিজানুর রহমান, তার স্ত্রীসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত সোমবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেইসঙ্গে দুদকের এক পরিচালককে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজানকে তলব করেছে দুদক। তার দেশত্যাগেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
গত বছরের ৮ জানুয়ারি পুলিশ সদর দপ্তর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পুলিশের তদন্ত কমিটি তাদের মতামতসহ তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এ ছাড়া সম্প্রতি ঘুষ লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পরই ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে মিজানুরকে দুদক কার্যালয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর মিজানুর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক।