ডোমার সরকারি কলেজ শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ৩ ছাত্র গ্রেফতার - দৈনিকশিক্ষা

ডোমার সরকারি কলেজ শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ৩ ছাত্র গ্রেফতার

ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি |

নীলফামারীর ডোমার সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সোলায়মান আলীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত এখন পর্যন্ত তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুইজনকে আটক করা হয়। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আহত শিক্ষক সোলায়মান আলী

আটক ছাত্ররা হলো, উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমিন (১৭), পশ্চিম চিকনমাটি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে আব্দুল হালিম (১৮) এবং পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজিমুল ইসলাম (১৭)। নাজিমুলকে ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরা সকলেই ডোমার সরকারি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র।

আরও পড়ুন: সরকারি কলেজ শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় আটক ১

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টম্বর ডোমার সরকারি কলেজের প্রভাষক সোলায়মান আলীকে কলেজের বখাটে ছাত্র শান্ত ও সৈকতের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জনের একটি বখাটে দল শিক্ষক সোলায়মানকে মারধর করতে করতে তিনতলা থেকে নিচে নামিয়ে আনে। সেখানেও প্রকাশ্যে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তারা শিক্ষককে মারধর করে।

এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বখাটে ছাত্রদের শাস্তির দাবিতে ডোমার ও নীলফামারীতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা।  এ ঘটনায় ওইদিন শিক্ষক সোলায়মান মামলা করলে আসামীদের ধরতে রাতেই অভিযান চালায় বলে জানায় পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক মারধরের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ছাত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সাক্ষ্য না দিতে কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে ঐসব বখাটে ছাত্র ও তাদের সহযোগীরা। তারা এই বলে হুমকি দিচ্ছে যে, বর্তমান অবস্থা শান্ত হলে সাক্ষ্য দানকারীদের ওপর আরও বেশি করে অত্যাচার করা হবে।

শিক্ষক সোলায়মান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বখাটেরা তাকে এবং ছাত্রদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের জন্যও তাকে নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানান এ শিক্ষক।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষকদের গায়ে হাত দেয়া কোনোমতেই বরদাশত করা হবে না। এর সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071661472320557