জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কলেজের উদ্যোগে আন্তঃকলেজ গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে সচেতন ও জাগ্রত করেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সঠিক লক্ষ্যে পৌছাতে বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার সেই দিকনির্দেশনা ও আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে দেশেকে মুক্ত করে ১০ মাসের মাথায় তিনি বাংলাদেশকে একটি সংবিধান উপহার দেন। সেই সংবিধান দিয়েই এখনও সঠিক ও সুন্দরভাবে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু তার জীবনের মূল্যবান সময় মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করছেন। তিনি মানুষের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে জীবনের ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজর অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহ বলেন, বর্তমান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে জানতে পারলে স্বাধীনতার চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরও ঢাকা কলেজ এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীম আরা বেগম, অধ্যাপক রেনু বালা গোপ, মো: রহমত উল্লাহ রাজনসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে গত বছর থেকে ঢাকা কলেজ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। সত্যিকারের নেতার জীবন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে শিক্ষার্থীদের বই উপহার দেওয়া এবং এ প্রতিযোগিতার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও প্রতিযোগী ফয়সাল অহমেদ মিতুল জানায়, বর্তমান প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজিবনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বইটি না পড়লে জাতির জনক সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারতাম না। তাছাড়া লিখিত পরীক্ষা নেওয়াতে আমাদের রাইটিং স্কিলের উন্নতি হয়েছে।
ভিকারুননিসা নুন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও প্রতিযোগী তাসফিয়া ত্বাকী তারিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি এ বইটি থেকে। প্রতিযোগিতায় মূলত পঞ্চাশটি প্রশ্নের এক কথায় উত্তর করতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় ঢাকা কলেজসহ ঢাকা মহানগরীর ১৪টি কলেজের একাদশ শ্রেণির (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতায় ১ম বিজয়ীকে দশ হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই, ২য় বিজয়ীকে আট হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই, ৩য় বিজয়ীকে সাত হাজার টাকা অথবা সমমূল্যের বই পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়াও নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে ১৩টি বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।