ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল, অনুষদ, ক্লাসরুমে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন, সংরক্ষণ এবং তদারকি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ২০১০ সালের নিমতলী ট্রাজেডির কথা সবার মনে থাকার কথা। ভয়াল অগ্নিকাণ্ডে তরতাজা শত প্রাণ অকালে সেদিন ঝরে গিয়েছিল। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চকবাজারে। চকবাজারের এই দুর্ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদের মৃত্যু হতবিহ্বল করেছে সবাইকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯টি আবাসিক হল ও ৩টি হোস্টেল ছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা।
জানা যায়, ২০১৩ সালে নির্মিত বিজয় একাত্তর হলের প্রতিটি ব্লকে দুটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি যন্ত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। কলাভবনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কম্পিউটিং ল্যাবের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রটিও মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ অবস্থায় হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষত আবাসিক হলগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অপ্রতুলতা, অপর্যাপ্ততা কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার থাকায় এমনকি অগ্নিকাণ্ডে কিভাবে যন্ত্রগুলো ব্যবহার করতে হবে এসব বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ কিংবা শিক্ষার্থীদের অসচেতনতায় যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির আবাসিক হল থেকে শুরু করে জায়গায় জায়গায় রয়েছে অসংখ্য খাবারের দোকান, যেগুলোতে রান্নার কাজও করা হয় সিলিন্ডার গ্যাসের মাধ্যমে। সব মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীর কথা মাথায় রেখে অবশ্যই জনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মজুদ, তদারকি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়