ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সাথে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদেরই বাড়াবাড়ি না করে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী। রাত এগারোটার দিকে তিনি ঢাকা মেডিকেলে যান। গুরুতর আহত ছাত্রের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন উপমন্ত্রী। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ।
আহতদের মধ্যে সোয়াদের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, দুপুরে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ দুপুরে সংঘর্ষের পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন তানভীর, নিহাদ, সামওয়ান, রাহাত ও সোয়াদ। আহতরা সবাই এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম। খবর শুনে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। দেখলাম, আমার কলেজের পাঁচ ছাত্র আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। আর তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। আরেকজনকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনলাম, কলেজ ছুটি হওয়ার পর ছাত্ররা বাসায় ফিরছিল। তখন সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে। বিষয়টি নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, আহতদের ৫ জনকে তাদের সহপাঠীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর, তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পায়ে, সোয়াতের এবং রাহাতের পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।