ঢাকার বেসরকারি স্কুলগুলোতে ১ম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আর ২য় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। আর ৯ম শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুদের জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তৈরি করা বোর্ডের মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আয়োজিত ভর্তি তদারকি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বেসরকারি স্কুলগুলোতে ১ম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আর ২য় থেকে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তৈরি করা বোর্ডের মেধাক্রম অনুসারে ৯ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা পূর্ণমান-৫০, এর মধ্যে বাংলা-১৫, ইংরেজি-১৫, গণিত-২০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। চতুর্থ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পূর্ণমান-১০০। এরমধ্যে বাংলা-৩০, ইংরেজি-৩০, গণিত-৪০ নম্বর থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন। ঢাকার একই ক্যাচমেন্ট এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্কুলের ভর্তি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি বিদ্যালয় এলাকায় ওই এলাকার ৪০ শতাংশ কোটা রেখে অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৪০ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য হবেনা। ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানদের ছেলে-মেয়ের জন্য ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আরও ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
গত বছরের মতই বেসরকারি স্কুলগুলোতের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে মোট আসন সংখ্যা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে।
বিদ্যালয়েরে অফিস ও ওয়েবসাইটে ভর্তি ফরম পাওয়া যাবে। ভর্তিফরমের দাম ও ভর্তি ফি সরকার নির্ধারিত হারে গ্রহণ করতে হবে।
বেসরকারি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আবেদন ফরমের দাম সর্বোচ্চ ২০০টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মফস্বলে পর্যায়ে ৫০০ টাকা, উপজেলা পর্যায়ে ১০০০ টাকা, জেলা সদরে অবস্থিত স্কুলগুলো ২ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সেশন চার্জ ৩ হাজার টাকা বেশি হবেনা।
আর ঢাকা মহানগরী এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ননএমপিও প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের প্রতিষ্ঠানর সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা সেশনচার্জ নিতে পারবে।