২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয় রাজধানীর সাত কলেজ। তারপর থেকে অধিভুক্তি বাতিলের দাবি করে আসছে ঢাবির ছাত্ররা। সাত কলেজেরও রয়েছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া। কার্যত গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধান এখনো দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এদিকে ঢাবির অধিভুক্তির ফলে সাত কলেজের ছাত্রদের যে ইয়ার লস হলো, ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হলো—তারা কি এ পর্যায়ে এসে তাদের অধিভুক্তি বাতিল করলে সহজে মেনে নেবে? অধিকাংশ ঢাবি ছাত্র প্রশাসনের সমালোচনার পাশাপাশি সাত কলেজকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছে সামাজিক মাধ্যমে। সাত কলেজও বসে নেই। আমার কাছে যে বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সুদূরপ্রসারী বলে মনে হয়েছে, সেটা হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের ছাত্রদের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। কেউ কাউরে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এসব তাদের মানসিক দিকের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রদের মধ্যে এই পারস্পরিক বিদ্বেষ কাম্য নয়। এর জন্য ছাত্ররা দায়ীও নয়, বরং যারা এ সংকট সৃষ্টি করেছে—এর কার্যকর সমাধান বের করা তাদেরই দায়িত্ব।
এ তথ্যে আরও জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমানো, শিক্ষার মান বাড়ানো, এছাড়াও বলা হয় ঢাবির প্রশাসনের আয় বাড়ানো প্রভৃতি কারণে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করা হয়। ঢাবির আয় বেড়েছে কি না জানি না, তবে সাত কলেজের শিক্ষার মান কতটুকু বেড়েছে এবং তার ফলে কতটুকু মূল্য দিতে হয়েছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন থেকেই যায়। পরিশেষে, আশা থাকবে—এ সংকটের এমন একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা হবে যা ঢাবি এবং সাতকলেজের ছাত্রদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং তাদের মাঝে সদ্ভাব, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হবে।
লেখক: আদনান চৌধুরী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়