ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার যন্ত্র বসানো হয়েছে। বুধবার এ যন্ত্রটি বসানোর পর শিক্ষার্থীরা রক্তের প্লাটিলেট কাউন্টের জন্য সিভিসি পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু শনাক্তের সুবিধাও পাচ্ছেন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টস (বিএসিবি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সহযোগিতায় প্রথম দিনে ডেঙ্গু পরীক্ষা করেছে ১৬৮ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৩ জনের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ড. সারওয়ার জাহান মুক্তাফী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রথম দিনে আমরা ১৬৮ শিক্ষার্থীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করেছি। যার মধ্যে ১৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বাকিদের কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারও আমরা ১৬০ জনের মতো পরীক্ষা করছি।
এদের রিপোর্ট আগামীকাল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, বিএসিবি আমাদের এখানে ডিভাইস নিয়ে এসে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করছে। আমরা তাদের লজেস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। ড. সরওয়ার জাহান মুক্তাফী বলেন, এ যন্ত্রটি প্রতিদিন ১৫০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে সক্ষম। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের সবক’টিতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে। ইতোমধ্যে এক শিক্ষার্থী ও এক কর্মচারী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
তিনদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ভিত্তিক একটি গ্রুপে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। এ পোস্টে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী ১৮টি হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আড়াই’শ। তাই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে প্রশাসনকেও। উদ্বিগ্ন প্রশাসন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলগুলোতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রমও শুরু করেছে হল প্রশাসন। নিয়মিত ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখনো সেখানে ভর্তির প্রায় সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত। শিক্ষার্থীরা যখন ঢাকা মেডিকেলসহ অন্য জায়গায় সিট পান না তখন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি হচ্ছেন। এখান থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।