ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের ডাকার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তিতে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকার পরেও ৫ জন প্রার্থীকে ভাইভায় ডাকা হয়েছে। তাদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সব আযোজন সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়োগের দায়িত্ত্বে রয়েছেন ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ। অযোগ্য প্রার্থীদের ভাইভায় ডাকা এবং যোগ্য কয়েকজনকে বাদ দেয়ার বিষয়ে প্রো-ভিসির মতামত জানতে চেয়েও পাওয়া যায়নি।
নিয়োগে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের মাস্টার্স পরীক্ষায় কমপক্ষে প্রথম শ্রেণি বা সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। এ ছাড়া তিন বছেরের অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে।
কিন্তু শায়লা আক্তার সাকী লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৪৮ নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। প্রথমে তাকে ভাইভার কার্ড দেয়া হয়নি। কিন্তু পরে তদবির করে ভাইভার কার্ড পেয়েছেন তিনি।
অপরদিকে লেদার প্রডাক্টস বিষয়ের এক প্রার্থী প্রদীপ কুমার মণ্ডলের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেই। তিনি মার্কেটিং বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। কিন্তু তিনিও ভাইভায় অংশগ্রহণের ডাক পেয়েছেন।
জানা যায়, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের প্রার্থী মো. মুজতবা আলীরও নেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। তিনি লেদারে ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে রাশেদ-উল-ইসলাম নামের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের প্রার্থীর অভিজ্ঞতা কম বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলেও শেষে চূড়ান্ত নিয়োগের ভাইভায় ডাক পেয়েছেন তিনি।
তবে সি এন্ড ডি থেকে ভাইভায় ডাকার জন্য সুপারিশ করলেও ডাকা হয়নি ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রার্থীকে।