বহিরাগতদের হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম ঘটনার বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বহিরাগতমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পলাশী থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে বহিরাগত এক যুবকের সঙ্গে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলামের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই যুবকসহ তার সতীর্থরা তাজুলকে বেধড়ক মারধর করে। এতে তাজুলের হাত ভেঙে যায়। শরীরের অন্যান্য স্থানেও গুরুতর আঘাত পান তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে এসে মানববন্ধনে অংশ নেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে সমাবেশে তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ওপর হামলার বিচার এবং ক্যাম্পাস বহিরাগতমুক্ত না হলে আমি আত্মহত্যা করব। যদি আমাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়, তাহলে প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে সেই অভিযোগপত্র লিখতে রাজি আছি।
এ সময় তার সঙ্গে সংহতি জানান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, এজিএস সাদ্দাম হোসাইন, সদস্য রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য। ভিপি নুর বলেন, দীর্ঘদিন ডাকসু না থাকায় শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হয়েছে 'সুপেরিয়র' ও 'ইনফেরিয়র'-এর মতো। এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। যে কোনো বিষয়ে প্রশাসনকে জানালে তারা 'গা ছাড়া' ভাব দেখায়।
তিনি বলেন, এখন শুধু লিখিত আকারে দাবি জানিয়েই বসে থাকব না, দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবো। ক্যাম্পাসে-সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ডাকসুর পক্ষ থেকে শুক্রবার বৈঠক করা হবে বলে তিনি জানান। এর বাইরেও যদি শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি থাকে, তা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় তারা তাজুলের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে যোগ দেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিনা অর্ণি ও সদস্য তানভির হাসান সৈকত। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।