অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া প্রার্থীকে পাশ কাটিয়ে মেধাক্রমে নবম স্থানে থাকা একজনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা সেই প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ দিচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেট। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সদস্যদের আপত্তির মুখে বিতর্কিত ওই সুপারিশ বাতিল করা হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার একটি দৈনিকে ‘ডাবল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট রেখে মেধাক্রমের নবম প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ’ শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা প্রার্থীসহ ওই বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা।
গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক (স্থায়ী) নিয়োগর জন্য বোর্ড বসে। ওই বোর্ডে অন্তত ১৫ জন প্রার্থীর চেয়ে সিজিপিএতে পিছিয়ে থাকা ফাইজুল হক ইশানকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। তার সিজিপিএ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৮ এবং ৩ দশমিক ৭৫ (অনার্সে মেধাক্রমে নবম)। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম ইশানের থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন। তিনি ভাইভাতে তাকে অধিক নম্বর দেন বলে নিয়োগপ্রার্থীরা অভিযোগ তোলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য উপউপাচার্যের (শিক্ষা) সভাপতিত্বে বোর্ড সভা বসে। বোর্ডে সুপারিশকৃতদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয়।