ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘রোকেয়া দিবস-২০১৯’ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বর্ণপদক, বৃত্তিপ্রদান ও বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকালে হল চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেধাবী ছাত্রীদের মাঝে স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান করেন।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশন বক্তৃতা প্রদান করেন সংসদ সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক আরমা দত্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রোকেয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও হলের খণ্ডকালীন আবাসিক শিক্ষক মনিরা বেগম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বেগম রোকেয়া নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। লেখনির মাধ্যমে তিনি সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন এবং নারীদেরকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বেগম রোকেয়ার আদর্শে অণুপ্রানিত হয়ে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
ফাউন্ডেশন বক্তৃতায় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, বেগম রোকেয়া চিন্তা ও মননে একজন খাঁটি বাঙালি ছিলেন। প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি ‘নারীদের’ ‘মানুষ’ বলে প্রতিষ্ঠিত করার যে দাবি তুলেছিলেন, তারই ফলস্বরূপ আমরা আজ নারী মুক্তি ও নারী ক্ষমতায়নের দিকে অগ্রসর হতে পেরেছি।
এদিকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের রোকেয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক পেয়েছেন সাবিহা আল হুমায়রা মমি (এমএ, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ), মেধাবৃত্তি পেয়েছেন মাহবুবা আক্তার শাম্মী (এএম, উর্দু বিভাগ), শর্মিষ্ঠা সোনালিকা সরকার (এমএসএস, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ), মালিহা হক (এমএস, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ) ও দিতি রানী ঘোষ (এমএস, পরিসংখ্যান বিভাগ)।
এছাড়া সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন মাহিয়া আহমেদ (১ম বর্ষ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ), তামান্না আক্তার শান্তা (১ম বর্ষ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), সময়িতা সরকার তুলি (২য় বর্ষ, জিন প্রকৌশল বিভাগ) ও সালেহুন আমিরা (১ম বর্ষ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ)।