আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ১ম জাতীয় গণিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ গণিত সমিতির তত্ত্বাবধানে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনটির নাম ‘এ এফ মুজিবুর রহমান - বাংলাদেশ গণিত সমিতি জাতীয় গণিত সম্মেলন’।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০ শাতাধিক গবেষক ও গণিতবিদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আজ শুক্রবার দুইটি সেশনে সর্বমোট ৩৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার প্রিন্স এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম ও অষ্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, সিডনি এর অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র সাহা।
সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাষ্টি বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মিসেস খুশি কবির, সম্মেলনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম ও সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাবুল হাসান। সভায় সভাপত্বিত করেন বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোবারক হোসেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ গণিতকে সহজভাবে উপস্থাপনের জন্য গণিতবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
মিসেস খুশি কবির তরুণগণিতবিদদের গবেষণাকাজে নিয়োজিত থাকার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপাচার্য তরুণ গণিতবিদদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গণিত বিভাগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান। গণিতকে সাবলিল ও সহজভাবে উপস্থাপনের জন্য গণিতবিদদেরকে আহ্বান জানান। সর্বক্ষেত্রে গণিতকে সহযোগিতার জন্য ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতার জন্য আহ্ববান জানান। তাঁর বক্তব্যে গণিত শুধু বিজ্ঞানেরই ভাষা নয় এটি সংগীতে, ইতিহসসহ এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে গণিতের ব্যবহার নাই। গণিতের মাধ্যমে সত্যকে বের করা এবং গণিতের গবেষণার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং গণিত সমিতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এই সম্মেলনে দেশের তরুণ ও মহিলা গণিতবিদদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের বৈজ্ঞানিক ও গণিতবিদ যারা দেশের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণা করেন তাদের একত্রিত করা। এতে নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের আদান প্রদান বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিজ্ঞান ও কারিগরী শিক্ষার উন্নতি ঘটবে যা দেশকে উন্নতির শিখরের নিয়ে যাবে। দেশের উন্নতি বহুলাংশে নির্ভর করে বিজ্ঞানের উন্নতির উপর যা মূলত নির্ভরশীল গণিতের উপর।
বিকাল ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।