ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব নয় বলে জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। শুক্রবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আরও পড়ুন : ঢাবিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট শিক্ষার্থীবান্ধব নয় বলে উল্লেখ করেন। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত ২৩ জুলাই সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বাজেটের ৩০ দশমিক ৭১ শতাংশ বেতন বাবদ, ২২ দশমিক ৭৪ শতাংশ সার্ভিস চার্জে, ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ অবসর ভাতা ও পেনশনে ব্যয় হবে। করোনাকালে অনেক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মচারী আর্থিকভাবে শোচনীয় অবস্থায় আছে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের সহযোগিতার জন্য বাজেটে বিশেষ কোনো বরাদ্দ নেই।
নেতার আরও বলেন, অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না। এ সমস্যা সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। গত বছরের তুলনায় বাজেটের আকার বেড়েছে। কিন্তু গবেষণায় বরাদ্দ কমেছে। গত বছর গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ০৪ শতাংশ, আর এ বছর ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। অথচ এই করোনার সময়ে আমরা যা কিছু প্রত্যক্ষ করলাম তাতে করে এই সময়ই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা ছিল গবেষণায়। বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটের ৭৪৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে। অভ্যন্তরীণ আয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি টাকা। এর পুরোটাই আদায় করা হবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। একে তো এই করোনা পরিস্থিতিতে পরিবারগুলোর অবস্থা খারাপ। এরপর ক্যাম্পাস খুললেই অভ্যন্তরীণ আয়ের নামে নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের উপর ফি’র খড়গ নেমে আসবে। এছাড়াও ঘাটতি বাজেট ৫০ কোটি ৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছ।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় যে এখান থেকে ঘাটতি বাজেট পুষিয়ে নেয়ার তৎপরতা থাকবে। এই ধরনের বাণিজ্যিক তৎপরতা শিক্ষার ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। বিবৃতিতে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের আর্থিক-প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান নেতারা।