নীলফামারীর জলঢাকায় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিচয় গোপন করে দলীয় পরিচয়ে নিজেকে আত্মশুদ্ধির জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মকছুদার রহমান লেলিন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি কৈমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত ১২ মে উপজেলার কৈমারী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দাতা সংস্থা কাতার চ্যারিটি’র অর্থায়নে ৯০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের মধ্যদিয়ে নিজের লোকদের মাঝে ভাগবাটোয়ারা করেন ওই যুবলীগ নেতা শিক্ষক। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। বিষয়টি উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের দৃষ্টি গোচর হয়। সরেজমিনে গিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এর প্রতিবাদে গত ১৭ মে রাতে কৈমারী বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষক। তার এ সংবাদ সম্মেলন ঘিরেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা। একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হয়েও দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার করে কিভাবে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে এ প্রশ্ন এখন জনমনে।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবলীগের অ্যাডহক কমিটির সদস্য সফিকুল ইসলাম পলাশ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে দলীয় পদ ব্যবহার করে ত্রাণের মাল আত্মসাৎ করা তার ঠিক হয়নি, এতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।'
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন সাদের দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন,‘কেন্দ্র তাকে এই পদ দিয়েছে এতে আপনার আমার কি করার আছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘সরকারি চাকরি করে দলীয় পদ ব্যবহার করার নিয়ম নেই, সকল সরকারি চাকরিজীবীদের একই নিয়ম।’
অভিযুক্ত ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মকছুদার রহমান লেলিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।