বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপির (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম) শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সংস্থাটির দূত হিসেবে তিনি বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির স্কুল ফিডিং, পুষ্টি, লাইভলিহুড ও কক্সবাজারে শরণার্থী সহায়তাবিষয়ক কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবেন। গতকাল সোমবার ডব্লিউএফপি এবং তামিম ইকবালের ফেসবুক পেজ থেকে উভয় পক্ষের সম্পৃক্ততার ঘোষণাটি দেওয়া হয়।
তামিমকে শুভেচ্ছাদূত করার বিষয়ে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, 'একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে তামিম ইকবাল শুধু জনপ্রিয়তা এবং এর প্রসারতাই ধারণ করেন না, কাজের প্রতি অবিশ্বাস্য রকম নিষ্ঠা, মমত্ববোধ ও মানবিক চেতনাও বহন করেন। তাকে ডব্লিউএফপি পরিবারের সঙ্গে যোগ করতে পেরে আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত।' এ বিষয়ে তামিম তার ফেসবুক পেজে বলেন, 'ডব্লিউএফপির গুডউইল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কভিড-১৯ মহামারি অনেকের
জীবনকে আরও বেশি সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করার আশা রাখি, যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতার প্রয়োজন এমন সব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।' বৈশ্বিক ক্ষুধামুক্তির লক্ষ্যে কাজ করা ডব্লিউএফপিতে তামিমই জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হওয়া প্রথম ক্রিকেটার। এর আগে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শিশুদের নিয়ে কাজ করা ইউনিসেফ আর শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়ন সংস্থা ইউনেস্কোর গুডউইল অ্যাম্বাসাডর ছিলেন সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া গত বছর ইউনিসেফের শিশু অধিকার দূত হন জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। তামিম ইকবাল চলমান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দুস্থদের সহায়তায় নানা কার্যক্রম ও দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে লাইভ আড্ডার আয়োজন করে আলোচিত হন।