তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠিন কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাজোটের নেতারা এ দাবিগুলো জানান।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকার ঘোষিত ৫০ শতাংশ বেসরকারি চাকরিকাল গণনা কর গ্রেডেশন/পদোন্নতির তালিকা তৈরি করা, প্রধান শিক্ষককের প্রাপ্ত টাইম স্কেলের ভিত্তিতে উন্নীত স্কেল বাস্তবায়ন এবং প্রধান শিক্ষককের গেজেট থেকে বাদপড়া শিক্ষকদের গেজেট সংশোধন করে প্রধান শিক্ষককের গেজেট প্রকাশ।
এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক মহাসমাবেশের মধ্যমে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকার এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নিলে অবস্থান ধর্মঘট, অনশনসহ যা যা করার দরকার আমরা সব করবো। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরবো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অধিগ্রহণকরা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরি শর্তাবলি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ অনুযায়ী কর্মরত প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল ও উচ্চতর বেতন স্কেল এবং সহকারী শিক্ষকদের টাইমস্কেল সুযোগভোগসহ কার্যকর চাকরিকালের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হওয়ার এক পর্যায়ে কিছু কর্মকর্তা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৩, বিধি ৯, উপবিধি-১ এর ভুল ব্যাখা দিয়ে শিক্ষকদের বঞ্চিত করছে। এর ফলে অধিগ্রহণ করা শিক্ষকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় শিক্ষকদের দাবিগুলো বস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আগামী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণে সরকার স্পষ্ট ঘোষণা দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের উপদেষ্টা মৃগেন্দ্র মোহন সাহা প্রমুখ।