গাজীপুরের পূর্ব ধীরাশ্রম ড. বাখরউদ্দিন ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার তিনজন নারী সহকারী শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা শাখা-১ এর বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনকারী শিক্ষকরা হলেন নাজমা আক্তার (কম্পিউটার), উম্মে কুলছুম উরফে কুলছুম আক্তার (শরীরচর্চা) ও হাজেরা খাতুন (ইবি প্রধান)।
মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা আবেদনে হয়রানির শিকার ওই শিক্ষকরা জানান, তারা ওই মাদরাসায় ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ নভেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় যোগদানের তারিখ থেকে ৩১ ডিসেম্বর এমপিওভুক্তি না হওয়া পর্যন্ত হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। ওই মাদরাসার সহসুপারসহ কয়েকজন শিক্ষকের পরামর্শে মাদরাসা প্রধান ১ জানুয়ারি থেকে এমপিওভুক্তির পর তাদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।
পরে ২৮ জুলাই তিনি এমপিওভুক্তির আগের ৮ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকার কারণ জানতে চেয়ে একটি নোটিশ প্রদান করেন। সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার জানান, মাদরাসার সব শিক্ষক-কর্মচারী ও কমিটিসহ সবাই জানে বিনা বেতনে তারা দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষক হিসেবে নিয়মিত মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছিলেন। অথচ ৭ এপ্রিল মাদ্রাসার সভাপতি জানান, বিগত সভার অসমাপ্ত বিবিধ আলোচনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মাদরাসা ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট আশ্রাফুল আলম সিদ্দিকী জানান, ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। সুকৌশলে সাবেক সুপার এবিএম শামসুল আলম তাদের নিয়োগ দিয়েছেন। চাকরির আশ্বাস দিয়ে ওই তিন শিক্ষককে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।