আবেদনের তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণট্রাস্টের টাকা পেলেন বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ (বরখাস্ত) মো. সেলিম ভুইয়া। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি সম্প্রতি অবসরে গিয়ে কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার টাকা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের সময় তিনি যথাযথ কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি। কিছু ভুয়া ও অস্পষ্ট কাগজ জমা দিয়েও আবেদনের তিন মাসের মধ্যে তিনি কল্যাণট্রাস্টের টাকা পেয়েছেন।
বিএনপি-জামাত আমলে পর্যায়ক্রমে কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব থাকাকালে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক হয়ে যান সেলিম ভুইয়া। কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার ফান্ডের সিড মানি ও শিক্ষকদের চাঁদার শত শত কোটি টাকা সরকারি ব্যাংক থেকে সরিয়ে বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সেলিম ভুইয়া।
উল্লেখ্য, অবসরের পর প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ফান্ডে তাদের জমানো টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করে দুই বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ টাকা না পেয়েই মারা যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ আবেদনের তিন মাসের মধ্যেও পেয়ে যাচ্ছেন।
অবসর সুবিধার টাকা এখনও পাননি বলে জানা যায়। কাগজপত্রের সমস্যা সমাধান না হলে তিনি টাকা পাবেন না। তাছাড়া অন্যান্য প্রায় ২০ হাজার অপেক্ষমান শিক্ষকের মতোই সেলিম ভুইয়াকেও অপেক্ষা করতে হবে। সবার জন্য একই নিয়ম অবসর সুবিধা বোর্ডে।