দুমকিতে খালের ভাঙনে এলজিইডির রাস্তা ধসে পড়েছে। উপজেলার লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার অনেকাংশ ধসে খালে নিশ্চিহ্ন হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভারানী খালের পাড় দিয়ে রাস্তার গাজীবাড়ি সংলগ্ন সড়কের দুই/তিনটি পয়েন্টে ১৫-২০ ফুট এলাকাজুড়ে ধসে পড়ে খালে বিলীন হয়ে গেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারলেও রিকশা-ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চলাচলকারীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগ সড়ক এটি। যা এখন খালের গর্ভে ধীরে ধীরে বিলীনের পথে। বিকল্প পথের ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ। রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন। এছাড়া লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থাকায় সাধারণ ভোটারের স্বাভাবিক যাতায়াতে অসুবিধায় পড়তে হবে। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় রাস্তাটি জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।
উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, যেহেতু নদী শাসন হচ্ছে, সেখানে এলজিইডি কোনো ক্রমেই সরকারি বরাদ্দের অর্থ অপচয় করতে পারে না।
লেবুখালী হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তাটি খালে বিলীন হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে। এছাড়া ওই ভাঙা রাস্তা দিয়ে দিনের বেলায় অনেক কষ্টে চলাচল সম্ভব হলেও রাতে চলাচলে অনুপযোগী ও ঝুঁকি রয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম গাজী বলেন, এই গ্রামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদ্রাসা ও তিনটি জামে মসজিদ থাকলেও চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তাটি এখন খালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একমাত্র ব্রিজটিও চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সিকদার বলেন, লেবুখালী ভারানী খালের ওপর সেতু ও রাস্তাটি ধসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে এবং এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।