কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার বিদ্যানন্দ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা, নাজিমখাঁন ইউনিয়নের ডাংরারহাট, তৈয়বখাঁ, পাড়ামৌলা, সোলাগাড়ি, চর গতিয়াশামসহ বিভিন্ন স্থানে ডুবে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ, বাড়ি-ঘরসহ বাজার-ঘাট।
জানা যায়, কালিরহাট ও সোলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ঘর বাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সোমবার (১৩ জুলাই) বন্যাকবলিত ও বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী (বাপ্পি)। তিনি বন্যা কবলিত তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা ও বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুদর্শার কথা শোনেন এবং সরকারি সহযোগিতা পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
সোমবারের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৯টি পয়েন্টে নদী ভাঙন চলছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
আরও জানা যায়, ধরলা ও তিস্তার উজানে ভারতের জলপাইগুঁড়ি, কুচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে উজানের ঢল অব্যাহত থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তবে ৩-৪ দিন পর পানি দ্রুত নেমে
যেতে থাকবে।
অপরদিকে উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কালুয়া এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কুড়িগ্রামে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা ১৫ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ১৫ তারিখের পর পরিস্থিতি জানা যাবে। ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।