তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা - দৈনিকশিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল প্রতিনিধি |

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের নয় বছরের শিশু নুসরাত জাহান বুধবার রাতে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে অভিযোগে হত্যা মামলা হয়েছে। সে দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সেই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই আগৈলঝাড়া থানায় মামলাটি করেন।

মেয়েটির বাবা সুমন মিয়ার অভিযোগ, করোনাকালে স্কুল বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমিতে পাঠদান চলছিল। সেখানে সাময়িক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মেয়েকে শিক্ষক বকাবকি করেন এবং বেত দিয়ে পেটান। অভিমানে তাঁর মেয়ে নুসরাত বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্যারেরা কী করল? আমার মা বেঁচে থাকলে কাজ করে খেত। কিন্তু আমার বুকের ধন বুকে থাকত। নিষ্ঠুর শিক্ষক আমার মাকে মেরে ফেলল। আমি এর বিচার চাই।

নুসরাতের মা তানিয়া আক্তার গ্রামবাসী, শিক্ষক, অভিভাবক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি নির্দেশে দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। দুই সপ্তাহ আগে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলটি খুলে। সেখানে পাঠদান শুরু হয়। গত সপ্তাহে সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অনেক শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়।

খাজুরিয়া গ্রামের কয়েকজন অভিভাবকের ভাষ্য, করোনার কারণে প্রায় ৬ মাস বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারেনি। ফলে অনেকেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের শিক্ষকেরা গালাগাল ও মারধর করেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবককে জানিয়েছে।

নুসরাতের মা তানিয়া আক্তার (৩০) কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘স্যারেরা কী করল? আমার মা বেঁচে থাকলে কাজ করে খেত। কিন্তু আমার বুকের ধন বুকে থাকত। নিষ্ঠুর শিক্ষক আমার মাকে মেরে ফেলল। আমি এর বিচার চাই।’

সহকারী শিক্ষক সফিকুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর ভাষ্য, ‘মারধর নয়, ফেল করায় মৃদু শাসন করা হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নয়ন তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। ছাত্রছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। তারপরও কেন মারধর করা হলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খোলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে পুরোপুরি ক্লাস শুরু করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চর্চা ধরে রাখতে স্বল্প পরিসরে পাঠদান করা হচ্ছিল।’

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীর বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠিয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077648162841797