দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আল্টিমেটাম বেরোবি শিক্ষকের - দৈনিকশিক্ষা

দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আল্টিমেটাম বেরোবি শিক্ষকের

বেরোবি প্রতিনিধি |

আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন না করলে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদুল হক। জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবায়ন চেয়ে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর করা আবেদনে এই আল্টিমেটাম দেন তিনি।

রেজিস্ট্রার বরারবর দেওয়া চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ নিয়োগকে বাতিল ঘোষণা চেয়ে আরেকটা মামলা করবেন তিনি। ক্ষতিপূরণ দশ কোটি টাকা দিতে হবে। অপরাধ সংগঠনকারী (যিনি নিয়োগে জালিয়াতি করেছেন), অপরাধের সুবিধাভোগী এবং অপরাধের সুবিধাভোগীকে রক্ষার চেষ্টাকারীর নিকট থেকে আদালতের মাধ্যমে এ দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।

চিঠিতে তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক পদে (স্থায়ী) গত ১০ মার্চ তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে ১৪ মে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত তাকে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি না দেওয়ায় বিভাগে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্নভাবে অধিকার বঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছেন। আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় এমনটি ঘটছে। দীর্ঘ সাত বছর নিয়োগ না পেয়ে এবং আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে আমি জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি এবং আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তাফা কামালের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে বুধবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আংশিক রায় বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বাকি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00655198097229