ঘুষ-দুর্নীতি ও আলিশান গাড়ী হাঁকানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তেরের ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস থেকে বরিশালে বদলি করা হয় টাইপিস্ট আবুল কালাম আজাদকে। গত ২৭ ডিসেম্বর তাকে বদলি করা হলেও বরিশালে যোগ দেননি কালাম। বদলি আাদেশ বাতিল করে ময়মনসিংহেই থাকতে চান কালাম। আর এ জন্য তার বরাদ্দ বিশ লাখ টাকা! ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের বদলি-বাণিজ্যে লিপ্ত চক্রের সদস্যদের হাতে দশ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন কালাম।
তবে, চাহিদামতো দশ লাখ টাকা দিলেও নানা কারণে তাকে ময়মনসিংহে রাখা যায়নি। শেষতক তাকে সিলেটে বদলি করা হয়। বুধবার (৩রা জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় কালামের বদলির ফাইলে সই করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। সন্ধ্যায় তার বদলির আদেশ জারি হয়। তবে, কালামের অনুরোধে আদেশটি শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হবে না। ১১ই জানুয়ারির মধ্যে কালামকে সিলেটের নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বদলির আদেশে। খবর বিশ্বস্ত সূত্রের।
এদিকে কালামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করেন আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয় কালাম ও ময়মনসিংহ অফিসের নৈশ প্রহরী নুর হোসেনের বিরুদ্ধে। তাদেরকে অন্যত্র বদলিও সুপারিশ করা হয়।
আজ দুপুরে উদ্বিগ্ন কালাম দৈনিকশিক্ষার ক্যামেরাবন্দি হন। তাকে দেখা যায় অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষের ভেতর ও বাইরে। কর্মকর্তারা সবাই বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের।
এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘চেয়েছিলাম ময়মনসিংহেই থাকতে, যা চাইলো তা-ই দিলাম তবু আমাকে সেই সিলেটে যেতে হবে।’
কাকে টাকা দিয়েছেন তা জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে কেটে পড়েন কালাম।