পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজ দীর্ঘ ১০ বছরেও এমপিও না হওয়ায় মানবতের জীবনযাপন করছে শিক্ষক-কর্মচারীরা। উপজেলায় একমাত্র মহিলা কলেজ যা সরকারের সকল শর্তপূরনেও মেলেনি এমপিওভুক্তি।
বেতনের অভাবে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তবে থেমে নেই উন্নত পাঠদান কার্যক্রম। চরম আর্থিক সঙ্কটে থেকেও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানেও কোন প্রকার অবহেলা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে দেখা যায়নি। উপজেলা সদর ইউনিয়নে ডা. ডলি আকবারের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে মহিলা কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর ২০১৪ সালে পাঠদানের স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়।
এরপর উপজেলার এই কলেজ নারী শিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। যা বিগত ৯ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে উপজেলায় ব্যাপক সুনামের আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কলেজটি ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। ভালো ফলাফল করে সুনাম বয়ে এনেছে। কিন্তু কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়াতে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
গতমাসে সরকার ঘোষিত এমপিও ভুক্তির তালিকায় কলেজের নাম না থাকায় চরম হতাশা ব্যক্ত করছেন এলাকাবাসী ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়দের দাবি, উপজেলায় একমাত্র মহিলা কলেজটি এমপিওভুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
কলেজটি যথাশীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা হলে উপজেলার নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি অবহেলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার মান বাড়বে। কলেজের প্রভাষক তপন কুমার জানান, এমপিও ভুক্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত এমপিও নীতিমালার ৮৫% শর্ত পূরণ হলেও গত ২৩ অক্টোবর নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় ডা. ডলি আকবার কলেজের নাম না থাকার কথা নয়।
বর্তমানে ২শ’ শিক্ষার্থী পাঠদানে রয়েছেন কলেজে। কলেজটি যথাশীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা হলে উপজেলার নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি অবহেলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।