সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, কোনো দায়িত্ব শতভাগ পালন করতে না পারলে তা থেকে সরে আসা উচিত। আমি আমার মন্ত্রীর দায়িত্ব একশ ভাগ পালন করতে পারছিলাম না বলে মন্ত্রিত্ব ছেড়েই দিয়েছিলাম। সম্প্রতি সোহেল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুক লাইভে এসব বলেন।
এ সময় সোহেল তাজ কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, আমি যখন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলাম, তখন মনে হয়েছিল, আমার দায়িত্ব বিশাল। আমার তখন অনুভূতি ছিল, আল্লাহ আমার কাঁধে ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি হতভম্ব স্তম্ভিত হয়ে যাই, এতো বড় দায়িত্ব কিভাবে পালন করব। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র পুত্র সোহেল তাজ আরও বলেন, আমি যদি কোয়ালিটি না দিতে পারি এবং আমার কাঁধে যদি ষোলো কোটি মানুষের পবিত্র দায়িত্ব থাকে, তাহলে সে দায়িত্ব ধরে রাখা ঠিক না।
আমি সেই চিন্তা থেকেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি কোয়ালিটি না দিতে পারলে সেই কাজ করব না। তিনি বলেন, আমি দিলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট দেব। আমার কাছে সে সময় মনে হয়েছে এ পবিত্র দায়িত্ব আমি কোয়ালিটি দিয়ে বা হান্ড্রেড পার্সেন্ট দিয়ে করতে পারছি না যে কোনো কারণেই হোক। তখন আমি মনে করেছি, এখানে থেকে সরে যাওয়াই ভালো। আমি যদি থেকে যাই তাহলে একটা মুকুট পরে থাকা হবে। এটা হবে ভনিতা। তো এই ক্ষমতার মুকুট পরে থাকার মতো মানুষ আমি ব্যক্তিগতভাবে না। কারণ, আমার কাছে ক্ষমতা কোনো বিষয় না।
আমি জানি সবকিছুর মূলে হলো সম্পর্ক। মানুষের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা, মানুষের ভালোবাসা পাওয়া। আর এই শিক্ষাই আমি আমার বাবা-মার কাছ থেকে পেয়েছি। সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের একমাত্র ছেলে সোহেল তাজ বলেন, আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখনো সাদাসিধে জীবন যাপন করেছি। আমার ছেলে ল’তে পড়ত। বাসে চড়ে কলেজে যেত। এখনো বাসে চড়ে যাতায়াত করে। নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে না। আমার ছেলের ভবিষ্যৎ, আপনাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ কোথায়। দেশ তো একটাই বাংলাদেশ। সোহেল তাজ আরও বলেন, আমার বাবা দেশকে ভালোবেসে জীবন দিয়ে গেছেন। দেশ স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন শত্রুর সামনে। আমার মা সারা জীবন দিয়ে গেছেন দেশের জন্য। এখনো আমার মেজো বোন এমপি হয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। বড় বোন ও ছোট বোন লেখালেখি করে দেশ ও সমাজের কাজ করছেন।