দুই কোটি টাকা দিলেও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মিলবে না: গণশিক্ষা মন্ত্রী - দৈনিকশিক্ষা

দুই কোটি টাকা দিলেও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মিলবে না: গণশিক্ষা মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ২০ লাখ কেন, দুই কোটি টাকা দিলেও অযোগ্য কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিতে পারবে না। এখানে শুধু মেধার বিচারেই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। টাকা দিয়ে প্রাথমিকে নিয়োগ পাওয়া এখন অতীত ইতিহাস মাত্র। শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ’এর (ইরাব) নবনির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা বুধবার ( ৮ আগস্ট) গণশিক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলে তিনি এসব কথা বলেন। 

‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে ২০ লাখ টাকা লাগে’-- সম্প্রতি  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের এ বক্তব্যের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোনো ঘুষ লেন দেন হয় না। আমি এরশাদ সাহেবকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম, ২০ লাখ কেন পারলে দুই কোটি টাকা দিয়ে একজন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ নিশিচত করে দেখান।’

তিনি বলেন, প্রাথমিকে চাকরিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয় বুয়েট। সনদ ও মৌখিকের জন্য ২০ নম্বর মাত্র। লিখিত পরীক্ষায় ভালো না করলে মৌখিকে পাঁচের মধ্যে পাঁচ পেয়েও লাভ নেই। 

মন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, বুয়েটের যারা ফলাফল প্রস্তুত করেন, তাদের ওখানে গিয়ে জেনে আাসুন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা  ও নম্বর দেয়ার পদ্ধতি। যেভাবে পরীক্ষা নেয়া হয়, খাতা দেখা হয়, আবার মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয় তার মান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। 

তবে প্রতারকরা চাকরির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয় বলেও স্বীকার করেন তিনি। অথচ দেখা যায় তাদের নিজ যোগ্যতাতেই চাকরি হয়। মাঝখানে প্রতারকরা লাভবান হয়। এমন সব প্রতারকদের থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। 

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,  ‘আমার মন্ত্রিত্ব গ্রহণের সময়ে ঝরে পড়ার হার ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০ শতাংশের নিচে। এখন খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। ঝরে পড়ার হার কমায় দেশে শিক্ষিত মানুষের হার বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, পৌরসভা ও মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বর্তমানে সবার জন্য উপবৃত্তির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপবৃত্তি বিতরণ করা হচ্ছে। এখন সব শিশুরাই স্কুলে যাচ্ছে। ৯৮ শতাংশের বেশি হলে তাকে শতভাগ বলা যায়। তাদের মিড ডে  মিল দেয়া হচ্ছে। এ কারণে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও বেড়েছে।

এদিকে প্রাথমিকের ইবতেদায়ি পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি সকল শর্ত পূরণ করার পরও সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবিতে শিক্ষকরা প্রায় এক মাস আন্দোলন করেন। শর্ত পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এসব শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাসে ফেরালেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়েছেন।

 ‘এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ’এর (ইরাব) নবনির্বাচিত সভাপতি ও দেশের একমাত্র শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান তার বক্তৃতায় মন্ত্রীকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজ, সহসভাপতি মুসতাক আহমেদ ও নিজামুল হক, কোষাধ্যক্ষ শরীফুল আলম সুমন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এম মামুন হোসেন ও আবদুল হাই তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য,  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক আকতারুজ্জামান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুরাদ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য আমানুর রহমান ও রিয়াজ চৌধুরী সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035519599914551