উল্লাপাড়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের জেরে বন্যাকান্দি এনএম উচ্চ বিদ্যালয় ও বন্যাকান্দি দাখিল মাদ্রাসার তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা দেওয়া হলো না। রোববার ১ জুলাই থেকে স্কুল ও মাদ্রাসায় অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
গত ২১ জুন উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের চরকালীগঞ্জ ও বন্যাকান্দি গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে নামে। এতে ২৫ জন আহত হন।
বন্যাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মওলা ও বন্যাকান্দি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর চরকালীগঞ্জ গ্রামের কোনো শিক্ষার্থীকেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার অভাবে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বন্যাকান্দি গ্রামপ্রধান মতি মোল্লা জানান, সংঘর্ষে তাদের পক্ষে বেশি লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে না ফেরা পর্যন্ত বন্যাকান্দি গ্রামবাসী কোনো আপস মীমাংসায় রাজি হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না, নতুন করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।