গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের উদাসীনতায় এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি হলে কর্তব্যরত শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার কারণে ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের নৈর্ব্যত্তিক ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি নজরে এলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রশ্ন তুলে নিয়ে নতুন করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
এ ঘটনায় পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করে তারা বলেন, এমন ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে এবং সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিব রুমিলা ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুলক্রমে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর বিষয়টি নজরে এলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের সিলেবাসের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশক্রমে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে ১৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। ওইসব শিক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে বিপর্যয় না হয় সে কারণে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় প্রদান করা হয়। এছাড়া ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদের সর্তক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।