মাত্র দুই মিনিটের আকস্মিক এক টর্নেডো বয়ে গেছে সদর উপজেলার কেওড়া ও কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বিদ্যালয়, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ শতাধিক বসতঘর। উড়ে গেছে টিনের চাল। কয়েত শত ছোট বড় গাছ পালা ভেঙ্গে গেছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বুধবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছিল, মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকায় এর মধ্যে বুধবার রাত ৯ টার দিকে আকস্মিক দমকা বেগে টর্ণেডো বয়ে যায় কেওড়া ইউনিয়নের সারেঙ্গল, রনমতি, নৈকাঠি, আইহোর,বামনিকাঠি ও কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামের ওপর দিয়ে। মাত্র ২ মিনিটের স্থায়ী এ টর্ণেডোতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই উড়ে গেছে বসত ঘর, ভেঙ্গে গেছে গাছ পালাসহ অন্যান্য স্থাপনা।
সব কিছু হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে। বিদ্যুতের ঘুটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে । টর্ণেডোর ক্ষয় ক্ষতি নিরুপনে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজুর রহমান উজির বলেন, ‘ কিছু বুঝে ওঠার আগেই টর্ণেডোতে আমার বসত ঘর ভেঙ্গে যায়। ঘরের টিনের চালা উড়িয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। আমরা এখন খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। একই অবস্থা শহিদ, সবুর, পরিবানুসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের।
কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. উজ্জ্বল খান বলেন,‘ আমাদের কেওড়া ইউনিয়নের ৬ গ্রামের উপর দিয়ে টর্ণেডো বয়ে গেছে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আকতার বলেন,‘ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলে ক্ষয় ক্ষতি নিরুপনে কাজ চলছে ।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন,‘ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দ্রæত এদের সরকারি ভাবে সহযোগীতা করা হবে।