দেশের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ‘ঢাকা কলেজ’। এক সময়কার ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ও জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতেন ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদের নেতারা। দেশের স্কুলগুলোয় ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট’ নির্বাচন হলেও ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানে দুই যুগ ধরে হয়নি ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদ’ নির্বাচন। যদিও সব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাত্রসংসদ ফি বাবদ ২৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে নিয়মিত। সর্বপ্রথম ১৯৫০-৫১ সালে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয় সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৩-৯৪ সালে।
’৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার সংগ্রাম, ’৯০-এর স্বৈরাচারের পতন পর্যন্ত আমাদের জাতীয় জীবনের সব গুরত্বপূর্ণ ক্ষণে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে আলোচনায় আছে ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন। কলেজ প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থী রাজনৈতিক ও ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আশা অচিরেই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদের সর্বশেষ নির্বাচিত ভিপি হারুন রশিদ বলেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চার জন্য দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তানিন তালুকদার বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি ডাকসু নির্বাচনের পরই ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেয়া হোক। ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সজিব বলেন, সব দলের সহাবস্থান নিশ্চিত করে, ছাত্রসংসদের নির্বাচন চাই। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহ বলেন, আমরাও চাই ছাত্রসংসদ নির্বাচন হোক। তবে এ নির্বাচন দেয়াটা সর্ম্পূণ সরকারের ওপর নির্ভর করে, সরকার যদি অনুমতি দেয় আমরা নির্বাচন দিতে প্রস্তুত। ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, ডাকসুর নির্বাচনের তারিখ হয়েছে। যদি এটার সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে পর্যায়ক্রমে সবগুলোর হবে আশা করি।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর