ঝালকাঠির রাজাপুরে সহপাঠীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় দুই শিক্ষককে মারধর ও বিদ্যালয়ে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ জিয়া উদ্দিন রিজভীর বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজাপুর-ভাণ্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া গালুয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ সদস্য সৈয়দ জিয়া উদ্দিন রিজভীর ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রাফিম আহম্মেদ তামিমের সঙ্গে স্থানীয় শরীফের ছেলে নাদিমের মারামারি হয়। এ ঘটনায় রিজভী স্কুলে এসে মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এ নিয়ে স্কুলের সভাপতির সঙ্গে আলাপ ও উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার প্রস্তুতি চলমান ছিল। এরই মধ্যে রোববার সকালে হঠাৎ জিয়া উদ্দিন রিজভীর নেতৃত্বে কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় তাকে ও কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী মাইনুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা জাতীয় পতাকা খুলে ছিঁড়ে ফেলে।
এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি। যুবলীগ নেতা সৈয়দ জিয়া উদ্দিন রিজভী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার ছেলে তামিমকে রোববার সকালে স্কুলে আসার পথে নাদিমসহ কয়েকজন কুপিয়ে জখম করে। সে বর্তমানে রাজাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। ছেলেকে নিয়ে সকালে থানায় মামলা করবেন, তাই প্রতিপক্ষ স্কুলে নাটক সাজিয়ে উল্টো তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করছে। তিনি তার ছেলের ওপর হামলার বিচার দাবি করেন। এর আগে কয়েকবার তার ছেলেকে মারধর করার পর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বারবার জানালেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে হামলাকারীদের পক্ষাবলম্বন করেন।
রাজাপুর থানার এসআই মো. শাহজাদা জানান, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।