ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষককে হেনস্থার দায়ে দুই প্রধান শিক্ষককে অর্থদ- দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার। দন্ডিতরা হলেন প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম চাঁন ও লুৎফর রহমান সেলিম। তাদের দুই শত টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমানকে হেনস্থার দায়ে দুই প্রধান শিক্ষককে এই অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য উপজেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিষয় থেকে ৪ জন করে মোট ৪৮ জনের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ও ইউআরসি কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের তৈরি করা প্রাথমিক তালিকায় প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম চানের নাম ছিলো না। একথা জানতে পেরে ওই দুই শিক্ষক মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে হেনস্থা করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তাৎক্ষনিক ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পশ্চিম রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম চান ও কানুদাশকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমানকে নিয়ে যান।
উপজেলা রিসোর্স সেটারের (ইউআরসি) ইনেসটেক্টর গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলার ১২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৪৮ জন শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম রাজাপুর ও কানুদাশকাঠি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা চাহিদা অনুযায়ী না থাকায় প্রশিক্ষনের জন্য তাদের নাম রাখা হয়নি।
এবিষয়ে ইউএনও মোঃ সোহাগ হাওলাদার জানান, সরকারি কাজে প্রভাব বিস্তারের দায়ে ওই দুই প্রধান শিক্ষককে দুই শত টাকা জরিমানা ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের মতামত পাওয়া যায়নি।