তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগে রোববার (২৩ জুন) মামলার অনুমোদন দেয় দুদক। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা হয়েছে। দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক দপ্তরে করা এটি প্রথম মামলা।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন, স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপন ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান।
এর আগে রোববার দুদক আইনের সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ হয়। এ অনুযায়ী এখন থেকে দুর্নীতির তফসিলভুক্ত অপরাধের মামলা করতে আর থানায় যেতে হবে না। নিজ দপ্তরেই মামলা করতে পারবে দুদক। সংশোধিত সেই বিধিমালা অনুযায়ী ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করলো সংস্থাটি।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, কেউ যদি থানায় দুর্নীতির অভিযোগ করেন, সেক্ষেত্রে পুলিশ সেটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করবে। পরবর্তী সময়ে তা অনুসন্ধানের জন্য দুদকে পাঠাবে। শুধু তাই নয়, দুদক চাইলে গুরুত্ব বিবেচনায় যে কোনো অভিযোগ দীর্ঘ সময় ধরে অনুসন্ধান না করে সরাসরি মামলা করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে মিজানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগে একই বছরের ৩ মে মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।