গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন শিক্ষকরা। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে এ বিষয়ে তারা লিখিত অভিযোগ দেন। ৬২ জন প্রধান শিক্ষকের সই করা অভিযোগপত্রে অবিলম্বে শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানানো হয়।
ঘোগোয়া এ বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব আলম প্রামাণিক দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসান জালিয়াতি, ঘুষ, দুর্নীতি ও অসদাচরণর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হয়রানি করছেন। গাইবান্ধা জেলার নিজ উপজেলায় কর্মস্থল হওয়ায় এ কর্মকর্তা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম, ম্যানেজিং কমিটি গঠন, শিক্ষকদের বেতন বিলের প্রত্যায়ন, এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠানোর সময় ঘুষের টাকার দিতে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (নৈশ্প্রহরী) মো. মাহাবুবার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য চাপ দিয়ে থাকেন।
অভিযোগে বলা হয়, এবিএম নকিবুল হাসানের প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে তার অফিসে গত ২৬ আগস্ট সদর উপজেলার খোলাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর মন্তব্য বইতে স্বাক্ষর না করে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ২৯ আগস্ট খোলাহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আছমা হক্কানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসানের সামনে রেজুলেশন বই স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপন করলে তিনি আবার ঘুষের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সব সদস্যের সামনে স্বাক্ষরিত লিখিত রেজুলেশনটি ছিড়ে ফেলে প্রধান শিক্ষক মোছা. আছমা হক্কানীকে অশ্লীল ভাষায় তিরস্কার করেন।
এ ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম নকিবুল হাসান ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে নতুন বই পরিবহন খরচ বাবদ প্রায় একলাখ টাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানে বণ্টন না করে আত্নসাৎ করেন। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতার ভেন্যু খরচ বাবদ আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভেন্যুতে বণ্টন না করে পুরো টাকা আত্নসাৎ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসান। তিনি বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা এধরনের অভিযোগ করতে পারে।